আপনাদের মনে হতে পারে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে আমরা আর কি করব।এটাতো আর লাগবে না। কিন্তু আপনাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।অনেক সময়ই পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডটির প্রয়োজন পরে।তখন যদি আপনার কাছে আইডি কার্ডটি না থাকে তাগলেও কোন সমস্যা নেই।আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডটি চেক করতে পারবেন এবং ডাউনলোড করতে পারবেন।
যা যা দরকারঃ
আপনি যদি অনলাইনে আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে চান তাহলে আপনার কিছু জিনিস খুবই প্রয়োজন পরবে।
একটি স্মার্ট মোবাইল /ল্যাপটপ /কম্পিউটার
ভালো ইন্টারনেট কানেকশন
একটি ওয়েব ব্রাউজার
স্মার্ট ফোন চালানোর দক্ষতা
প্রথমে আপনার মোবাইলের ডাটা কানেকশন চালু করুন।
এরপর যে কোন ব্রাউজার এ গিয়ে nid service bd লিখে সার্চ করুন অথবা service. nidw.gov.bd এই লিংকে ক্লিক করে সারাসরি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।এই লিংকে ক্লিক করলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নামে একটি ওয়েবসাইট আসবে যেখানে থাকা মেনু গুলোর মধ্যে 'অন্যান্য তথ্য' এ ক্লিক করুন।এরপর 'ভোটার তথ্য' নামে আরেকটি অপশন আসবে।এখানে ক্লিক করুন।
এরপর একটি ফর্ম আসবে যেখানে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে পূরণ করে নিন।
আপনি যদি ভোটার তথ্য অপশনটি খুঁজে না পান সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করত হবে।পরবর্তীতে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিন।
রেজিষ্ট্রেশন ও লগইন করার নিয়মাবলিঃ
প্রথমে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম তারিখ দিয়ে ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট করুন।প্রথম বারে ক্যাপচা বুঝতে না পারলে re-captcha অপশনে ক্লিক করে পুনরায় নতুন ক্যাপচা আসলে তা পূরণ করে সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন।
আপনার মোবাইল নম্বরটি ভেরিফিকেশন করে নিন।আপনি এনআইডি কার্ড করার সময় যে নাম্বারটি দিয়েছিলেন সেই নাম্বারটি এক্ষেত্রে দরকার পরবে।
ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।
এরপর রেজিষ্ট্রেশনের সময় দেয়া এই পাসওয়ার্ড ও ইউজারনেম দিয়ে লগইন করে নিন।
এভাবে লগইন করা হয়ে গেলেই জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম তারিখ পূরণের একটি ঘর আসবে।সেটি পূরণ করুন।তাহলেই
আপনার রেজিষ্ট্রেশন ও লগইন সম্পন্ন হয়ে গেল।
এরপর যা যা দেখতে পাবেনঃ
আপনার রেজিষ্ট্রেশন ও লগইন করা হয়ে গেলে ভোটার তথ্য দেখুন অপশন আসবে।সেখানে ক্লিক করলেই স্ক্রিনে আপনার নাম,ভোটার নং, সিরিয়াল নং, NID নং, পিন নাম্বার ও আপনার এলাকার তথ্য আসবে।
এখানে থাকা পিন নম্বরটিই মূলত আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার।এটিকে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।অথবা আপনারা যদি চান পুরো কার্ডটিকেই ডাউনলোড করে রাখেবন।তাহলে ডাউনলোড অপশনে গিয়ে ডাউনলোড করে নিয়ে লেমিনেশন করে নিতে পারবেন।
সর্বশেষে
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার আর নতুন স্মার্ট কার্ডের নাম্বারের কোন মিল না থাকায় পূর্বে যে সকল জায়গায় নাম্বারটি ব্যবহার করা হয়েছে সে সকল ক্ষেত্রে ইনফরমেশন দেয়ার সময় অনেক ঝামেলা হয়ে থাকে। তাই আপনাদের যখন দরকার হবে তখন উপরের নিয়ম গুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন এবং ডাউনলোড করতে পারবেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন