সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক ও ডাউনলোড নিয়ম

 আপনাদের মনে হতে পারে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে আমরা আর কি করব।এটাতো আর লাগবে না। কিন্তু আপনাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।অনেক সময়ই পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডটির প্রয়োজন পরে।তখন যদি আপনার কাছে আইডি কার্ডটি না থাকে তাগলেও কোন সমস্যা নেই।আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডটি চেক করতে পারবেন এবং ডাউনলোড করতে পারবেন। 

নতুন স্মার্ট কার্ডটি না পাওয়া পর্যন্ত আপনাদের পুরাতন আইডি কার্ডটিই ব্যবহার করতে হবে।চাকরির ক্ষেত্রে, বিকাশ এ্যাকাউন্ট খুলতে,বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করতে ভোটার আইডি কার্ডটি দরকার হয়।তাছাড়া অনেক সময় দেখা যায় আপনি আপনার পুরাতন আইডি কার্ডটি দিয়ে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন।বর্তমানে আপনার কাছে স্মার্ট কার্ড থাকলেও তা দিয়ে কোন কাজ হবে না।আপনাকে পুরাতন আইডি কার্ডের পুরাতন নম্বরটিই ব্যবহার করতে হবে।যদি আপনার কাছে পুরাতন কার্ডটি না থাকে বা হারিয়ে গিয়ে থাকে তাহলেও চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি অনলাইনে আপনার পুরাতন আইডি কার্ডটি চেক করতে পারবেন এবং পাশাপাশি তা ডাউনলোড করেও নিতে পারবেন।এর জন্য আপনারা নিচে দেয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করুন। 

যা যা দরকারঃ

আপনি যদি অনলাইনে আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে চান তাহলে আপনার কিছু জিনিস খুবই প্রয়োজন পরবে।

  • একটি স্মার্ট মোবাইল /ল্যাপটপ /কম্পিউটার 

  • ভালো ইন্টারনেট কানেকশন 

  • একটি ওয়েব ব্রাউজার 

  • স্মার্ট ফোন চালানোর দক্ষতা

পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক ও ডাউনলোড
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক করার ধাপ সমূহঃ
  • প্রথমে আপনার মোবাইলের ডাটা কানেকশন চালু করুন।

  • এরপর যে কোন ব্রাউজার এ গিয়ে nid service bd লিখে সার্চ করুন অথবা service. nidw.gov.bd এই লিংকে ক্লিক করে সারাসরি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।এই লিংকে ক্লিক করলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নামে একটি ওয়েবসাইট আসবে যেখানে থাকা মেনু গুলোর মধ্যে 'অন্যান্য তথ্য' এ ক্লিক করুন।এরপর 'ভোটার তথ্য' নামে আরেকটি অপশন আসবে।এখানে ক্লিক করুন।

  • এরপর একটি ফর্ম আসবে যেখানে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে পূরণ করে নিন।

  • আপনি যদি ভোটার তথ্য অপশনটি খুঁজে না পান সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করত হবে।পরবর্তীতে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিন।

রেজিষ্ট্রেশন ও লগইন করার নিয়মাবলিঃ

  • প্রথমে আপনার  জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম তারিখ দিয়ে ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট করুন।প্রথম বারে ক্যাপচা বুঝতে না পারলে re-captcha অপশনে ক্লিক করে পুনরায় নতুন ক্যাপচা আসলে তা পূরণ করে সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন।

  • আপনার মোবাইল নম্বরটি ভেরিফিকেশন করে নিন।আপনি এনআইডি কার্ড করার সময় যে নাম্বারটি দিয়েছিলেন সেই নাম্বারটি এক্ষেত্রে দরকার পরবে।

  • ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।

  • এরপর রেজিষ্ট্রেশনের সময় দেয়া এই পাসওয়ার্ড ও ইউজারনেম দিয়ে লগইন করে নিন।

  • এভাবে লগইন করা হয়ে গেলেই জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম তারিখ পূরণের একটি ঘর আসবে।সেটি পূরণ করুন।তাহলেই

আপনার রেজিষ্ট্রেশন ও লগইন সম্পন্ন হয়ে গেল।

এরপর যা যা দেখতে পাবেনঃ

আপনার রেজিষ্ট্রেশন ও লগইন করা হয়ে গেলে ভোটার তথ্য দেখুন অপশন আসবে।সেখানে ক্লিক করলেই স্ক্রিনে আপনার নাম,ভোটার নং, সিরিয়াল নং, NID নং, পিন নাম্বার ও আপনার এলাকার তথ্য আসবে।


এখানে থাকা পিন নম্বরটিই মূলত আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার।এটিকে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।অথবা আপনারা যদি চান পুরো কার্ডটিকেই ডাউনলোড করে রাখেবন।তাহলে ডাউনলোড অপশনে গিয়ে ডাউনলোড করে নিয়ে লেমিনেশন করে নিতে পারবেন।

সর্বশেষে 

পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার আর নতুন স্মার্ট কার্ডের নাম্বারের কোন মিল না থাকায় পূর্বে যে সকল জায়গায় নাম্বারটি ব্যবহার করা হয়েছে সে সকল ক্ষেত্রে ইনফরমেশন দেয়ার সময় অনেক ঝামেলা হয়ে থাকে। তাই আপনাদের যখন দরকার হবে তখন উপরের নিয়ম গুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন এবং ডাউনলোড করতে পারবেন। 


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড (NID Card Download) করুন খুব সহজে নতুন নিয়মে

বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পরিচয় পত্র সংক্রান্ত সকল সার্ভিসের সেবা প্রদানের লক্ষ্য বাংলাদেশ এন আই ডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ওয়েবসাইট চালু করেছে। উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক খুব সহজে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। শুধু সংগ্রহ নয় বরং যে সকল নাগরিক ১৮ বছর অথবা ১৮ বছরের উর্ধ্বে তারা বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশনের ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে নতুন নিবন্ধন করতে পারবে। কয়েকটি তথ্য প্রদান করে অনলাইনে মাধ্যমে খুব সহজে এখন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে। এছাড়াও ভোটার আইডি কার্ড এর বিভিন্ন তথ্য সংশোধন‌ এবং অনলাইন কপি সংগ্রহ করা যাবে। ‌ বাংলাদেশের যেসব নাগরিক ইতিমধ্যে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছে কিন্তু স্মার্ট কার্ড এখনো পাইনি সে সকল নাগরিক অনলাইন থেকে NID Card Download করতে পারবে। তবে উক্ত প্রার্থীকে অবশ্যই ১৮ বছর অধিকারী হতে হবে। প্রার্থীর বয়স ১৮ বছর না হলে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে না। সুতরাং ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডের সকল পদ্ধতি এবং নিয়ম আমাদের এই পেজ থেকে জানতে পারবেন।   অনলাইন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য রেজিস্ট্রেশন ক...

ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম ২০২৫

ভোটের আইডি কার্ড বের করার আরো একটি অন্যতম পদ্ধতি হলো ভোটার ফর্ম ব্যবহার করে অনলাইন কপি সংগ্রহ করা। ‌ অর্থাৎ বাংলাদেশের নাগরিকরা তাদের ভোটার ফরম নাম্বার ব্যবহার করে খুব সহজে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবে। বিশেষ করে এই পদ্ধতিটি নতুন ভোটারদের অনেক উপকারী। কারণ বর্তমানে প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার হয়। ভোটার আইডি কার্ডের পরিবর্তে অনেক জায়গায় জন্ম সনদপত্র ব্যবহার করা যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জন্ম সনদপত্র ব্যবহার করে বিশেষ কাজগুলো সম্পন্ন করা হয় না। অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া কাজ সম্পন্ন হয় না। এক্ষেত্রে একজন নাগরিককে অবশ্যই তার আইডি কার্ডের নম্বর প্রদান করতে হবে।  বাংলাদেশের অনেক নাগরিক আছে যারা ইতিমধ্যে আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছি কিন্তু সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভোটার আইডি কার্ড পাইনি। সে সকল নাগরিক ভোটার ফরম নাম্বার ব্যবহার করে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। ভোটার আইডি কার্ডের আসল কপির মত অনলাইন কপি ব্যবহার করে ও সকল কাজ এবং আবেদন সম্পন্ন...