সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি চেক ২০২৫


ভোটার আইডি কার্ড খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। সকল নাগরিকদের জন্যই এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ১৮ বছর বয়স বা তার বেশি হলেই তাদের জন্য ভোটার আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক হয়ে যায়।কারণ সকল প্রাতিষ্ঠানিক কাজেই এখন ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন রয়েছে। আপনি যে এই দেশের নাগরিক তার প্রমাণ স্বরূপ এই কার্ডটির দরকার পরে। তাই আপনি যদি আপনার আইডি কার্ডটির অনলাইন কপি চেক করে দেখতে চান তাহলে নিচে দেওয়া ধাপ গুলোর অনুসরণ করুন।তাহলে খুব সহজেই চেক করতে পারবেন আপনার আইডি কার্ডটি। 

আপনি কি নতুন ভোটার হয়েছেন? ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন? এখন চাচ্ছেন তার অনলাইন কপিটি চেক করতে? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনাকে সাহায্য করবে। এখানে আপনি পেয়ে যাবেন ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি চেক করার সকল ধাপের বিস্তারিত বর্ণনা।

যা যা প্রয়োজনঃ

ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি চেক করতে হলে যা যা লাগবে তা হলঃ

একটি স্মার্ট ফোন /কম্পিউটার /ল্যাপটপ 

ভালো ইন্টারনেট কানেকশন 

অনলাইন কপি চেক করার ধাপ

আপনার কাছে একটি স্মার্ট ফোন থাকলেই আপনি খুব সহজে আপনার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি চেক করতে পারছেন। তাই নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করুন।

services.nidw.gov.bd এই লিংকটিতে ক্লিক করে খুব তাড়াতাড়িই আপনি ভোটার আইডি কার্ড চেক করার মেইন পেইজটি পেয়ে যাবেন।

এই ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর আপনাকে প্রথমে রেজিস্টার করতে হবে। আর আগে থেকেই যদি রেজিস্টার করা থাকে তাহলে শুধু লগইন করলেই হবে।

ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি চেক ১ম ধাপ

রেজিস্টার করার জন্য প্রথমে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা ফর্ম নাম্বার এবং সঠিক জন্ম তারিখ পূরণ করে নিচে থাকা ক্যাপচাটি ভালোভাবে দেখে পূরণ করুন।এরপর সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।(আপনি যদি ক্যাপচাটি বুঝতে না পারেন তাহলে রি-ক্যাপচাতে ক্লিক করলেই আরেকটা নতুন ক্যাপচা আসবে।)

ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি চেক ২য় ধাপ

এরপর একটি নতুন ওয়েবপেজ দেখতে পাবেন যেখানে বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানার অপশন আসবে।বর্তমান ঠিকানার জায়গায় আপনার জেলা,উপজেলা ও বিভাগ এর ঘর গুলো পুরণ করুন।আপনার বর্তমান আর স্থায়ী ঠিকানা যদি একই হয়ে থাকে তাহলে দুটো ঘরে একই তথ্য দিয়ে পূরণ করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। 

এরপর আপনার মোবাইল নম্বর দিয়ে ভেরিফিকেশন করে নিন।এক্ষেত্রে আপনি যে মোবাইল নম্বরটি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেছিলেন সেই নাম্বারটি লিখুন।পরে ঐ নাম্বারে একটি OTP গেলে তা সঠিক ভাবে পূরণ করুন এবং বহাল এ ক্লিক করুন।

ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।

এরপর এই পাসওয়ার্ড ও ইউজার নেইম দিয়েই লগইন করে নিন।

এরপর আবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার ও জন্ম তারিখ লিখুন।

ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি চেক ৩য় ধাপ

এরপরই আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি পেয়ে যাবেন।চাইলে আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

আমাদের এমন কোন সেক্টর নেই ভোটার আইডি কার্ড লাগেনা। সব সেক্টরেই এর গুরুত্ব রয়েছে।শিশুদের স্কুলে ভর্তি করানো থেকে শুরু করে অফিসে কর্মক্ষেত্রে সব জায়গাতেই এটির প্রয়োজন পরে।আপনার ১৮ বছর বয়স হলেই একটি ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করা উচিত।আর আপনি যদি ইতিমধ্যে আবেদনে করে থাকেন।কিন্তু কার্ড পাননি। সেক্ষেত্রে আপিনার কার্ডটি হয়েছে কিনা জানতে উপরের ধাপ গুলো অনুসরণ করে দেখে নিন আপনার কার্ডটি। 

সবশেষে 

যত দ্রুত সম্ভব ভোটার আইডি কার্ড বা এনআইডি কার্ড করে নেয়া উচিত। তবে এর জন্য প্রথমে আবেদন করতে হয়।আপনার আবেদনের প্রায় দুই থকে তিন মাসের মধ্যে আপনার কার্ড তৈরি হয়ে যাবার কথা।তৈরি হয়েছে কিনা জানতে আপনি আগেই অনলাইনে চেক করে নিন আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি।যদি কার্ডটি সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে যায় তাহলে তখনই ডাউনলোড করে নিতে পারেন আর যদি রেডি না হয়ে থাকে তাহলে আরো কিছু সময় অপেক্ষা করুন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড (NID Card Download) করুন খুব সহজে নতুন নিয়মে

বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পরিচয় পত্র সংক্রান্ত সকল সার্ভিসের সেবা প্রদানের লক্ষ্য বাংলাদেশ এন আই ডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ওয়েবসাইট চালু করেছে। উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক খুব সহজে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। শুধু সংগ্রহ নয় বরং যে সকল নাগরিক ১৮ বছর অথবা ১৮ বছরের উর্ধ্বে তারা বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশনের ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে নতুন নিবন্ধন করতে পারবে। কয়েকটি তথ্য প্রদান করে অনলাইনে মাধ্যমে খুব সহজে এখন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে। এছাড়াও ভোটার আইডি কার্ড এর বিভিন্ন তথ্য সংশোধন‌ এবং অনলাইন কপি সংগ্রহ করা যাবে। ‌ বাংলাদেশের যেসব নাগরিক ইতিমধ্যে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছে কিন্তু স্মার্ট কার্ড এখনো পাইনি সে সকল নাগরিক অনলাইন থেকে NID Card Download করতে পারবে। তবে উক্ত প্রার্থীকে অবশ্যই ১৮ বছর অধিকারী হতে হবে। প্রার্থীর বয়স ১৮ বছর না হলে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে না। সুতরাং ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডের সকল পদ্ধতি এবং নিয়ম আমাদের এই পেজ থেকে জানতে পারবেন।   অনলাইন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য রেজিস্ট্রেশন ক...

ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম ২০২৫

ভোটের আইডি কার্ড বের করার আরো একটি অন্যতম পদ্ধতি হলো ভোটার ফর্ম ব্যবহার করে অনলাইন কপি সংগ্রহ করা। ‌ অর্থাৎ বাংলাদেশের নাগরিকরা তাদের ভোটার ফরম নাম্বার ব্যবহার করে খুব সহজে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবে। বিশেষ করে এই পদ্ধতিটি নতুন ভোটারদের অনেক উপকারী। কারণ বর্তমানে প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার হয়। ভোটার আইডি কার্ডের পরিবর্তে অনেক জায়গায় জন্ম সনদপত্র ব্যবহার করা যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জন্ম সনদপত্র ব্যবহার করে বিশেষ কাজগুলো সম্পন্ন করা হয় না। অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া কাজ সম্পন্ন হয় না। এক্ষেত্রে একজন নাগরিককে অবশ্যই তার আইডি কার্ডের নম্বর প্রদান করতে হবে।  বাংলাদেশের অনেক নাগরিক আছে যারা ইতিমধ্যে আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছি কিন্তু সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভোটার আইডি কার্ড পাইনি। সে সকল নাগরিক ভোটার ফরম নাম্বার ব্যবহার করে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। ভোটার আইডি কার্ডের আসল কপির মত অনলাইন কপি ব্যবহার করে ও সকল কাজ এবং আবেদন সম্পন্ন...

পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক ও ডাউনলোড নিয়ম

  আপনাদের মনে হতে পারে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে আমরা আর কি করব।এটাতো আর লাগবে না। কিন্তু আপনাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।অনেক সময়ই পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডটির প্রয়োজন পরে।তখন যদি আপনার কাছে আইডি কার্ডটি না থাকে তাগলেও কোন সমস্যা নেই।আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডটি চেক করতে পারবেন এবং ডাউনলোড করতে পারবেন।  নতুন স্মার্ট কার্ডটি না পাওয়া পর্যন্ত আপনাদের পুরাতন আইডি কার্ডটিই ব্যবহার করতে হবে।চাকরির ক্ষেত্রে, বিকাশ এ্যাকাউন্ট খুলতে,বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করতে ভোটার আইডি কার্ডটি দরকার হয়।তাছাড়া অনেক সময় দেখা যায় আপনি আপনার পুরাতন আইডি কার্ডটি দিয়ে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন।বর্তমানে আপনার কাছে স্মার্ট কার্ড থাকলেও তা দিয়ে কোন কাজ হবে না।আপনাকে পুরাতন আইডি কার্ডের পুরাতন নম্বরটিই ব্যবহার করতে হবে।যদি আপনার কাছে পুরাতন কার্ডটি না থাকে বা হারিয়ে গিয়ে থাকে তাহলেও চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি অনলাইনে আপনার পুরাতন আইডি কার্ডটি চেক করতে পারবেন এবং পাশাপাশি তা ডাউনলোড করেও নিতে পারবেন।এর জন্য আপনারা নিচে দেয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করুন।  যা যা দরকারঃ আপনি যদি অনলাইনে...