সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

স্লিপ নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের (ডাউনলোড) করার নিয়ম

অনেক পদ্ধতিতে অনলাইন থেকে এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাই। তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো ভোটার আইডি কার্ডের ফরম নম্বর অর্থাৎ স্লিপ নম্বর ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করা। একজন নাগরিকের কাছে তার ভোটার আইডি কার্ডের স্লিপ নম্বর এবং জন্ম সনদপত্রে যে জন্ম তারিখটি দেওয়া রয়েছে তো জন্ম তারিখটি জানা থাকলে অনলাইনে মাধ্যমে খুব সহজে নতুন এবং পুরাতন হয় ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা যাবে। 

যে সকল নাগরিক ইতিমধ্যে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছে আবেদনকৃত সকল নাগরিকের কাছে ভোটার ফরম নম্বর রয়েছে। ভোটার আবেদন ফরমের ডান পাশে ৮ ডিজিটের একটি স্লিপ নম্বর দেওয়া রয়েছে । উক্ত নম্বর ব্যবহার করে বাংলাদেশ এনআইডি কার্ড অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য বের করা যাবে পাশাপাশি নাগরিক উক্ত ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন ডাউনলোড করতে পারবে। আমাদের এই পেজ থেকে স্লিপ নম্বর ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ড বের করার পদ্ধতি জানতে পারবেন একই সঙ্গে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম জানতে পারবেন। 

ভোটার স্লিপ নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড

পূবে নাগরিকগণ বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এনআইডি সার্ভিস সংক্রান্ত সকল সেবা পেয়ে থাকতো। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার নতুন ভোটার সংক্রান্ত এবং এনআইডি কার্ড ডাউনলোড সংক্রান্ত সকল সেবা এবং সার্ভিস প্রদানের জন্য নতুন ওয়েব পোর্টাল চালু করেছে। বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশনের নতুন ওয়েব পোর্টালটি হলো Bangladesh NID application system. 

অর্থাৎ এই ওয়েবসাইট থেকে এখন এনআইডি সংক্রান্ত যেকোনো সার্ভিস যেমন নতুন নিবন্ধন, নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা, জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড ইত্যাদি। ‌আর এই ওয়েবসাইট থেকে নতুন ভোটাররা যারা এখনো ভোটার আইডি কার্ড পাইনি সে সকল নাগরিক এখন তাদের ভোটার স্লিপ নম্বর ব্যবহার করে খুব সহজে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করতে পারবে। বাংলাদেশ এনআইডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ওয়েবসাইট থেকে ভোটার স্লিপ নম্বর ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার সহজ পদ্ধতি এবং রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া বিস্তারিত দেওয়া হল। 

ফরম নাম্বার দিয়ে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড 

জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ ন্যাশনাল আইডেন্টি কার্ড প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। কেননা বর্তমানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে এনআইডি কার্ড ব্যবহার হয়ে থাকে। এনআইডি কার্ড ব্যতীত অনেক কাজ করা যায় না। বিভিন্ন চাকরির আবেদনের জন্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য ন্যাশনাল আইডি কার্ড ব্যবহার হয়। এছাড়াও এনআইডি কার্ড ব্যতীত এখন মোবাইল ফোনের সিম কার্ড ও তোলা সম্ভব নয়। এই জন্য প্রত্যেকটি নাগরিককে তাদের এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। এনআইডি কার্ড বিতরণ আরও সহজ করে তুলতে বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সাল থেকে অনলাইনে এনআইডি কার্ড বিতরণ শুরু করেছে। 

এরই ধারাদায়িকতায় ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশের নাগরিকগণ অনলাইন থেকে তাদের স্লিপ নম্বর ব্যবহার করে এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারছে। অর্থাৎ যে সকল প্রার্থী এনআইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছে শেখ সকল প্রার্থী তাদের এনআইডি কার্ডের ফরম নম্বর ব্যবহার করে অনলাইন থেকে এনআইডি কার্ড বের করতে পারবে। স্লিপ নম্বর ব্যবহার করে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে‌ একজন প্রার্থীকে বাংলাদেশ এনআইডি কার্ড অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। 

স্লিপ নম্বর দিয়ে অনলাইন ভোটার আইডি কার্ড বের করার পদ্ধতি 



একজন নাগরিকের কাছে তার স্লিপ নম্বর থাকলে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করা খুবই সহজ। যদি আপনার কাছে ভোটার স্লিপ নম্বর থাকে তাহলে এ পদ্ধতি অনুসরণ করে আগে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। 

১। প্রথমে মোবাইল ফোন অথবা ল্যাপটপ থেকে www.services.nidw.gov.bd এই ওয়েব পোর্টালটি ভিজিট করুন। ‌

২। এখন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করুন। 

৩। পরবর্তী ধাপে আপনার উক্ত ভোটার স্লিপ নম্বর দাখিল করুন। ‌

৪। এখন জন্ম সনদপত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ প্রদান করুন। 

৫। উপরে উল্লেখিত তথ্য প্রদান করার পর সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। ‌

৬। তারপর থেকে ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে। ‌

৭। ঠিকানার স্থানে প্রার্থীকে চারটি তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন:  গ্রাম/ মহল্লা, জেলা, উপজেলা, পোস্ট।

৮। উক্ত ফরমে যে মোবাইল নম্বরটি প্রদান করা হবে ওই মোবাইল নম্বরে একটি otp যাবে। 

৯। মেসেজের মাধ্যমে প্রাপ্ত ওটিপিটি ফর্মে প্রদান করতে হবে। 

১০। সঠিক ওটিপি প্রদানের পর প্রার্থীকে একটি QR কোড দেওয়া হবে ।

QR কোডটি স্ক্যান করতে প্রার্থীকে গুগল প্লে স্টোর থেকে NID WALLET মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে হবে। তারপর QR কোডটি স্ক্যান করে আবেদনকারী প্রার্থীর ছবি প্রদান করতে হবে। ছবি আইডেন্টিফিকেশন সম্পন্ন হলে প্রার্থী রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে প্রার্থীকে তার এনআইডি নম্বর এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে হবে। 

স্লিপ নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম 

উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিটি অনুসরণ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে নাগরিক তার অনলাইন ভোটার আইডিটি ডাউনলোড করতে পারবে। ডাউনলোড করতে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন। 

১। Bangladesh NID application system ওয়েবসাইটের প্রবেশ করে লগইন পেজে ক্লিক করুন। 

২। এখন আপনার এনআইডি নম্বর এবং পাসওয়ার্ড প্রদান করুন।

৩। লগইন বাটনে ক্লিক করুন। 

৪। প্রোফাইলের হোমপেজে এনআইডি কার্ডের নিচে ডাউনলোড অপশন দেখা যাবে। 

৫। ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড টি সংগ্রহ করুন। 

স্লিপ নম্বর দিয়ে স্মার্ট আইডি কার্ড বের করার পদ্ধতি

বাংলাদেশ সরকার এখন সকল নতুন ভোটারদের স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ শুরু করেছে। সকল নতুন ভোটার গণ তাদের নিকটস্থ সিটি কর্পোরেশন, ইউনিয়ন অথবা পৌরসভা থেকে স্মার্ট আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। তবে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হলে নাগরিকরা অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে পারবে। অর্থাৎ অনলাইন থেকে স্মার্ট আইডি কার্ড বের করা যাবে না। অনলাইনে যে আইডি কার্ডটি প্রদান করা হয়ে থাকে তা পূর্বের এনআইডি কার্ডের মত। তবে অনলাইন থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণের তারিখ এবং কেন্দ্র জানতে পারবেন। www.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশ এনআইডি সার্ভিস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য করতে পারবেন। 

জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন :

১. ভোটার স্লিপ নাম্বার কোথায় পাবো?

 উত্তর: ভোটার আবেদন ফরমে। 

২. টকেন নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার পদ্ধতি কি?

উত্তর: www.services.gov.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে। 

৩. স্লিপ নাম্বার দিয়ে কিভাবে নতুন ভোটার আইডি কার্ড বের করব?

উত্তর: বাংলাদেশ এনআইডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে এবং এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপে ছবি আইডেন্টিফিকেশন করে। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড (NID Card Download) করুন খুব সহজে নতুন নিয়মে

বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পরিচয় পত্র সংক্রান্ত সকল সার্ভিসের সেবা প্রদানের লক্ষ্য বাংলাদেশ এন আই ডি অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ওয়েবসাইট চালু করেছে। উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক খুব সহজে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। শুধু সংগ্রহ নয় বরং যে সকল নাগরিক ১৮ বছর অথবা ১৮ বছরের উর্ধ্বে তারা বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশনের ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে নতুন নিবন্ধন করতে পারবে। কয়েকটি তথ্য প্রদান করে অনলাইনে মাধ্যমে খুব সহজে এখন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে। এছাড়াও ভোটার আইডি কার্ড এর বিভিন্ন তথ্য সংশোধন‌ এবং অনলাইন কপি সংগ্রহ করা যাবে। ‌ বাংলাদেশের যেসব নাগরিক ইতিমধ্যে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছে কিন্তু স্মার্ট কার্ড এখনো পাইনি সে সকল নাগরিক অনলাইন থেকে NID Card Download করতে পারবে। তবে উক্ত প্রার্থীকে অবশ্যই ১৮ বছর অধিকারী হতে হবে। প্রার্থীর বয়স ১৮ বছর না হলে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে না। সুতরাং ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডের সকল পদ্ধতি এবং নিয়ম আমাদের এই পেজ থেকে জানতে পারবেন।   অনলাইন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য রেজিস্ট্রেশন ক...

ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম ২০২৫

ভোটের আইডি কার্ড বের করার আরো একটি অন্যতম পদ্ধতি হলো ভোটার ফর্ম ব্যবহার করে অনলাইন কপি সংগ্রহ করা। ‌ অর্থাৎ বাংলাদেশের নাগরিকরা তাদের ভোটার ফরম নাম্বার ব্যবহার করে খুব সহজে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবে। বিশেষ করে এই পদ্ধতিটি নতুন ভোটারদের অনেক উপকারী। কারণ বর্তমানে প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার হয়। ভোটার আইডি কার্ডের পরিবর্তে অনেক জায়গায় জন্ম সনদপত্র ব্যবহার করা যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জন্ম সনদপত্র ব্যবহার করে বিশেষ কাজগুলো সম্পন্ন করা হয় না। অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া কাজ সম্পন্ন হয় না। এক্ষেত্রে একজন নাগরিককে অবশ্যই তার আইডি কার্ডের নম্বর প্রদান করতে হবে।  বাংলাদেশের অনেক নাগরিক আছে যারা ইতিমধ্যে আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছি কিন্তু সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভোটার আইডি কার্ড পাইনি। সে সকল নাগরিক ভোটার ফরম নাম্বার ব্যবহার করে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। ভোটার আইডি কার্ডের আসল কপির মত অনলাইন কপি ব্যবহার করে ও সকল কাজ এবং আবেদন সম্পন্ন...

পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক ও ডাউনলোড নিয়ম

  আপনাদের মনে হতে পারে পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে আমরা আর কি করব।এটাতো আর লাগবে না। কিন্তু আপনাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।অনেক সময়ই পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডটির প্রয়োজন পরে।তখন যদি আপনার কাছে আইডি কার্ডটি না থাকে তাগলেও কোন সমস্যা নেই।আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডটি চেক করতে পারবেন এবং ডাউনলোড করতে পারবেন।  নতুন স্মার্ট কার্ডটি না পাওয়া পর্যন্ত আপনাদের পুরাতন আইডি কার্ডটিই ব্যবহার করতে হবে।চাকরির ক্ষেত্রে, বিকাশ এ্যাকাউন্ট খুলতে,বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করতে ভোটার আইডি কার্ডটি দরকার হয়।তাছাড়া অনেক সময় দেখা যায় আপনি আপনার পুরাতন আইডি কার্ডটি দিয়ে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন।বর্তমানে আপনার কাছে স্মার্ট কার্ড থাকলেও তা দিয়ে কোন কাজ হবে না।আপনাকে পুরাতন আইডি কার্ডের পুরাতন নম্বরটিই ব্যবহার করতে হবে।যদি আপনার কাছে পুরাতন কার্ডটি না থাকে বা হারিয়ে গিয়ে থাকে তাহলেও চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি অনলাইনে আপনার পুরাতন আইডি কার্ডটি চেক করতে পারবেন এবং পাশাপাশি তা ডাউনলোড করেও নিতে পারবেন।এর জন্য আপনারা নিচে দেয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করুন।  যা যা দরকারঃ আপনি যদি অনলাইনে...